ঢাকা ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদকে অভিনন্দন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ৩৫৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানাচ্ছি। রাষ্ট্রপতি পদে তিনিই ছিলেন একমাত্র প্রার্থী। যে কারণে নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন বাছাইয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে গত বুধবার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ।

সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির মেয়াদ পূর্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ফলে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা ছিল। গত ৩১ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় আবদুল হামিদকে দ্বিতীয় দফা রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর গত শুক্রবার জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ আবদুল হামিদের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন এবং রবিবার রাষ্ট্রপতি ওই মনোনয়নপত্রে সই করেন। গত সোমবার তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়। ১৯৯১ সালে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর সে বছর রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হয়। তারপর থেকে রাষ্ট্রপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে।

বর্তমান সংসদে ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় অন্য কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে জেতা দূরের কথা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলারও সুযোগ হয়নি। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তৃণমূল থেকে উঠে আসা পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বমহলে বহুল পরিচিত। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে তিনি জয়ী হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ মো. আবদুল হামিদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা নানা কারণে তাত্পর্যপূর্ণ। সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা না থাকলেও মর্যাদার প্রতীক হিসেবে এ পদধারীর অবস্থান গুরুত্ববহ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার অধিষ্ঠান সাংবিধানিক শাসনকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আশা করি। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সরকারকে সঠিক পথে চলার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগাবেন এমনটিই প্রত্যাশিত।

দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ায় মো. আবদুল হামিদকে আবারো আমাদের অভিনন্দন। দায়িত্ব পালনে আপনি সর্বতোভাবে সফল হোন—একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এই শুভ কামনা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদকে অভিনন্দন

আপডেট টাইম : ০৪:৫৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানাচ্ছি। রাষ্ট্রপতি পদে তিনিই ছিলেন একমাত্র প্রার্থী। যে কারণে নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন বাছাইয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে গত বুধবার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ।

সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির মেয়াদ পূর্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ফলে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা ছিল। গত ৩১ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় আবদুল হামিদকে দ্বিতীয় দফা রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর গত শুক্রবার জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ আবদুল হামিদের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন এবং রবিবার রাষ্ট্রপতি ওই মনোনয়নপত্রে সই করেন। গত সোমবার তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়। ১৯৯১ সালে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর সে বছর রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হয়। তারপর থেকে রাষ্ট্রপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে।

বর্তমান সংসদে ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় অন্য কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে জেতা দূরের কথা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলারও সুযোগ হয়নি। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তৃণমূল থেকে উঠে আসা পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বমহলে বহুল পরিচিত। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে তিনি জয়ী হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ মো. আবদুল হামিদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা নানা কারণে তাত্পর্যপূর্ণ। সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা না থাকলেও মর্যাদার প্রতীক হিসেবে এ পদধারীর অবস্থান গুরুত্ববহ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার অধিষ্ঠান সাংবিধানিক শাসনকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আশা করি। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সরকারকে সঠিক পথে চলার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগাবেন এমনটিই প্রত্যাশিত।

দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ায় মো. আবদুল হামিদকে আবারো আমাদের অভিনন্দন। দায়িত্ব পালনে আপনি সর্বতোভাবে সফল হোন—একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এই শুভ কামনা করছি।